অবশেষে ভেঙেই গেল লাক্সসুন্দরী বাঁধনের সুখের সংসার। বিয়ের চার বছরের মাথায় স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে নারীনির্যাতন মামলা করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের সংসারে দাম্পত্য কলহ চলছিল। প্রায় দুইবছর ধরে তারা আলাদা বসবাস করতেন।
২০১০ সালে ব্যবসায়ী সনেটের সঙ্গে পরিচয় হয় বাঁধনের। পরিচয়ের তিন মাস পরেই তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে ব্যবসায়ী সনেটের সঙ্গে বাঁধন বিয়ের পিড়িঁতে বসেন। অনেকটা গোপনেই বিয়ের কাজটি সেড়ে ফেলেন বাঁধন। গুলশানে স্বামী সনেটের বাড়িতে উঠেন তিনি। বিয়ের এক বছর পর বাঁধনের কোল জুড়ে আসে কন্যা সন্তান সায়রা। সুখেই কাটছিল তাদের সংসার। কন্যা সায়রার একবছর পূর্ণ না হতেই স্বামীকে নিয়ে বাঁধন বাবার মিরপুরের ফ্লাটে ওঠেন। সুখেই কাটছিল তাদের দাম্পত্য সংসার। হঠাৎ করেই সুখের সংসারে মনমালিন্য দেখা দেয়।
স্বামীর সঙ্গে বাঁধনের ধীরে ধীরে তাদের দাম্পত্য কলহ বাড়তে থাকে। বাঁধনের বাড়ি থেকে সনেট বাধ্য হয়ে আলাদা হয়ে যান। প্রায় দুই বছর তারা আলাদা বসবাস করেন। পরে বাঁধন পুরোদমে মিডিয়ায় কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। প্রায়ই নাটকের শুটিং ইউনিটে বাঁধনের সঙ্গে কন্যা সায়রাকে দেখা যেত। তখন বাঁধন বলতেন,‘মেয়েকে দেখার মতো কেউ নেই। তাই তাকে একলা রেখে শুটিং করতে পারি না।’
দীর্ঘদিন শোবিজে বাঁধনের সংসার নিয়ে নানা কানাঘুষা চলছিল। এ বিষয়ে বাঁধনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘আমি কন্যা সায়রাকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই আছি।’ ডিভোর্সের বিষয়ে জানতে চাইলে ,‘ তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।’
পূর্বপশ্চিমবিডি ডটকমের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে নানান তথ্য। এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে বাঁধন তার স্বামী সনেটকে ডিভোর্স করে নারী নির্যাতন মামলা দিয়েছেন ।
সনেটের ঘনিষ্ঠজনদের সূত্রে জানা গেছে, ডিভোর্সের আগে থেকেই কন্যা সায়রা সঙ্গে তার বাবার যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন বাঁধন। এমনকী সনেটের প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক কাগজপত্রগুলো দিতে চাচ্ছেন না তিনি।
শোবিজেে একের পর সংসার ভাঙছে। সর্বশেষ বিয়ের এক বছর না গড়াতেই ভেঙ্গে যায় মডেল অভিনেত্রী সুজানার সুখের সংসার। এবার ভেঙে গেল লাক্সসুন্দরী বাঁধনের সংসারও।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।